চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপক সাফল্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ^ব্যাপি একের পর এক স্বীকৃতি পাচ্ছেন। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা কালে এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ ও ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আলী আজগার টগর। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। জনসভায় প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের হুশিয়ার করে বলেন, সারাদেশে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা দলেও কার্যকর করা হবে। অতএব ষড়যন্ত্রকারীরা এর থেকে রেহায় পাবেন না। তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এমন এক সময়ে যারা পুটি মাছের মতো দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অনেকে ঘরের মধ্যে বসে গোপন বৈঠক করে দলের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নেত্রী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করছেন। আর কেউ কেউ ষড়যন্ত্র নিয়ে আছে। তাদের ধোকাবাজি আর চলবে না। আমরা চাই চুয়াডাঙ্গার সার্বিক উন্নয়ন। রাস্তাঘাট উন্নয়ন করা হয়েছে। যা কিছু বাকি আছে তা করা হবে। জনসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনসহ সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, জামায়াত, বিএনপি ও ফ্রীডম পার্টি থেকে অনেকেই আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে। তারা দলের ক্ষতি করছে। তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বিতাড়িত করতে হবে। জেলার ইউনিয়নগুলোতে দলের যে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হচ্ছে সেসব ইউনিয়নে গিয়ে দলের মধ্যে থাকা স্বাধীনতা বিরোধীরা পাল্টা কমিটির নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে। ওইসব স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে মহাসড়কে উন্নীত হয়েছে তার স্বীকৃতি স্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একের পর এর পুরস্কৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা অতীতে আর কখনও হয়নি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা টিকিয়ে রাখার জন্যই সরকার প্রধান দূর্ণীতিবিরোধী যে অভিযান শুরু করেছে। এ ধারা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণ হবে।