টি-২০ বিশ্বকাপের অঘোষিত কোয়াটার ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনালে পা রাখলো পাকিস্তান। অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছেনে ক্যাচ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে তাসকিনের ভাগ্য খারাপ। তার বলে ক্যাচ মিস করেন উইকেটরক্ষক নূরুল হাসান সোহান। জীবন পেয়ে পরের বলেই ছক্কা হাকান রিজওয়ান। পরের বল ডট করেন তাসকিন। ৬ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তাসকিন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। এই ওভারে পাঁচ রান দেন নাসুম। তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম তিন বল ডট করার পর চতুর্থ বলে তাকে চার মারেন বাবর আজম। পরের শেষ দুই বল ডট দিয়ে ওভার শেষ করেন তাসকিন। প্রথম ৩ ওভার শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পর পর দুটি চার মারেন রিজওয়ান। শেষ বলে এক রান দিয়ে ওভার শেষ করেন সাকিব।
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই ওভারে ৭ রান দেন তিনি। এরপর ইনিংসের ছষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম বলে ১ রান দেওয়ার পর পরের চার বল ডট দেন। আর শেষ বলে এক রান দিয়ে ওভার শেষ করেন নাসুম।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে তিন রান দেন মোস্তাফিজ। এরপর ইনিংসের অষ্টম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন নাসুম আহমেদ। এই ওভারে শেষ চার বলে চার সিঙ্গেল নেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার।
ইনিংসের নবম ওভারে ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন পেসার এবাদত হোসেন। এই ওভারে ৬ রান দেন তিনি। এবাদতের পর দশম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
ইনিংসের ১১ তম তৃতীয় বলে নাসুমকে সুইপ করতে গিয়ে টপ এডজ হয়ে মোস্তাফিজের হাতে ধরা পড়ে বাবর আজম। দলীয় ৫৭ রানে ৩৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন বাবর আজম। এরপর ইনিংসের ১২ তম ওভারে বল করতে এসে ওভারের দ্বিতীয় বলেই রিজওয়ানকে সাজঘজরে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। দলীয় ৬১ রানে ৩২ বলে ৩২ রান করে আউট হন রিজওয়ান। ১২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৭ রান দেন মোস্তাফিজ। তার পর আবারও বোলিংয়ে আসেন পেসার এবাদত। ওভারের প্রথম বলেই চার মারেন মোহাম্মদ হারিস। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে নেওয়াজকে স্ট্রাইক দেন তিনি। পরের বলে সিঙ্গেল নিলে আবারও স্ট্রাইক পান হারিস। পরের বলে ছক্কা হাঁকান হারিস। এই ওভারে ১৩ রান তুলে নেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার।
ইনিংসের ১৫ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। এই ওভারের চতুর্থ বলে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন নেওয়াজ। দলীয় ৯২ রানে ১১ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি। ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩৪ রান।
ইনিংসের ১৬ তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ওভারের তৃতীয় বলে নো বল করেন তিনি। ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকান মোহাম্মদ হারিস। এই ওভারে ১৬ রান দেন তাসকিন।
শেষ চার ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের। ১৭ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই চার রান দেন সাকিব। ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ হারিসকে আউট করেন সাকিব। দলীয় ১২১ রানে ১৮ বলে ৩১ রান করে আউট হন হারিস।
শেষ ৩ ওভারে ৭ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের। ৫ রান নিয়ে ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজের স্লোয়ারে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইফতিখার আহমেদ। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দুই রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে এবাদতের করা প্রথম বল থেকে ২ রান নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন শান মাসুদ। ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শান মাসুদ। এই জয়ের ফলে গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো ভারত ও পাকিস্তান।