কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘন করায় মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৫টি ভিডিও ডিলিট করে দিল টিকটক। ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির এরূপ কাজ করেছে টিকটক।
২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিকটক।
বাংলাদেশের প্রতিবেদনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা প্রথম পর্যায়ে ছিল ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২। বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ৯৯.৬ শতাংশ যেখানে ৯৭.২ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে টিকটক মোট ১৭ কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সব ভিডিওর প্রায় ১.০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৩৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে। এবার সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৮.২ শতাংশ যেখানে পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৩.৫ শতাংশ ভিডিও মুছে ফেলা হয়।
প্রতিবেদনটি অনুযায়ী মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে ৩১ শতাংশ কনটেন্ট ছিল সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সম্পর্কিত, যা টিকটকের কনটেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গত নয়। এ ছাড়া এই ভিডিওগুলোর মধ্যে ১৫.১ শতাংশ ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা মানদণ্ড লঙ্ঘন করে, এবং ৪.৭ শতাংশ ভিডিও সরানো হয় গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার নির্দেশনা ভঙ্গ করার জন্য।
সরিয়ে ফেলা কোভার্ট ইনফ্লুয়েন্স অপারেশনস (সিআইও) নেটওয়ার্কগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণীর প্রকাশ অব্যাহত রাখবে টিকটক। এতে একটি নতুন আলাদা প্রতিবেদনে ব্যাহত হওয়া অপারেশনগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র: কালবেলা