মেহেরপুর থেকে বাইক রাইডার নামের একটি গ্রুপের সদস্যরা ৫০ উর্ধ মটরবাইক নিয়ে র্যালী করে জোরপূর্বক মুজিবনগরে ঢুকতে চাইলে হাতাহাতি হয়েছে মুজিবনগর কমপ্লেক্স গেটে ডিউটিরত আনসার সদস্যের সাথে।
এতে করে গ্রুপের কয়েকজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মুজিবনগরের ভিতরে ছবি তুলে তাদের ফেইসবুক গ্রুপের কভার ফটো করার উদ্যেশ্য ছিলো তাদের। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় মুজিবনগর কমপ্লেক্সে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধাঙ্গায় দির্ঘদিন ধরে গেটলক আছে। কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাতিত কাউকে মুজিবনগরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
এরই মধ্যে শুক্রবার বিকালে ছবি তোলার জন্য শতাধীক লোকজন নিয়ে মুজিবনগরে আসে বাইক রাইডার গ্রুপের কয়েকজন এডমিন মডারেটরসহ সদস্যরা। যাদের সকলের বয়স ১৮ এর নিচে। কারও কাছে ছিলো না হেলমেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স। বাইকরাইডার এর সদস্যরা মুজিবনগর গেটে পৌছানোর পর ভিতরে ঢুকতে চাইলে আনসার সদস্যরা তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয় তাদের। এতে করে ঠেলাঠেলির ভিতরে পরে যেয়ে গ্রুপের দুইজন সদস্য হাত এবং পিঠ ছিলে যায়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিউটিরত আনসার সদস্যরা জানান, দির্ঘদিন ধরে ইউএনও স্যারের নির্দেশে গেট বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে তারা মুজিবনগর আসলে আমরা ভিতরে না ঢুকার জন্য বুঝিয়ে বলি। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েকজন ছেলে প্রাচীর লাফ দিয়ে জোর পূর্বক ভিতরে প্রবেশ করতে থাকে। আমরা তাদের আটকাতে গেলে তারা অশ্নীল আচারণ ও উগ্র মেজাজে কথা বলতে থাকে। পরে আমরা তাদের বের করে দিতে গেলে ঠেলাঠেলি শুরু হয়।
বাইক রাইডার গ্রুপের সদস্যরা জানান, আমরা গ্রুপের কভার ফটো চেঞ্জ করার জন্য মেহেরপুর থেকে র্যালী করে ছবি তোলার উদ্যেশে মুজিবনগর আসি। প্রথম পর্যায়ে আনসার সদস্যরা ঢুকতে না দিলে আমরা ইউএনও স্যারের অনুমতি নেয়ার জন্য তাদের বলি। কিন্তু তারা ইউএনও স্যারের সাথে কথা না বলেই আমাদের বের করে দেন। কিন্তু পরবর্তিতে একজন পুলিশ সদস্যের সাথে কথা চলাকালীন অবস্থায় আনসার সদস্যরা বাইরে এসে আমাদের মারধর শুরু করে।
মুজিবনগর আনসার বাহিনির এপিসি আলী হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার জানান, ঘটনা শোনার পর আমি এবং ওসি সাহেব সেখানে গিয়েছিলাম। যেয়ে দেখি ওরা ছিলো সকলেই ১৮ বছরের নিচে। গেটের সামনে প্রবেশ নিষেধ এমন বিজ্ঞাপন দেখা সত্তেও জোর পূর্বক প্রবেশ করতে চাওয়ায় একটু ভূল বোঝাবুঝির কারণে হয়তো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেখানে যেয়ে সকল বিষয় শুনে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।