প্রতি বছর একই কাণ্ড। প্রতি বছর সেই একই অভিযোগ। আর প্রতি বছরই হাজারো অভিযোগ সত্ত্বেও বিসিসিআইয়ের ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার বিরক্ত পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজিল মালিক প্রীতি জিনতা। এমনিতে তাকে রেগে যেতে হয়তো খুব কম মানুষই দেখেছেন। মিষ্টি হাসি নিয়েই গ্যালারিতে থাকেন প্রীতি। দল হারুক বা জিতুক, কখনওই স্পিরিট নষ্ট করেন না বলিউডের নায়িকা।
তবে এবার তিনি এতটাই বিরক্ত যে নিজের ইমেজ ভেঙে বেরিয়ে এলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে তার দল আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে। দলের সমর্থক ও প্রীতি নিজেও মানতে নারাজ যে পাঞ্জাব এদিন দিল্লির কাছেই হেরেছে। বরং তারা মনে করছেন, কে এল রাহুলের দলকে হারিয়ে দিয়েছে ভুল আম্পায়ারিং।
দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ দশ বলে জেতার জন্য ২১ রান প্রয়োজন ছিল প্রীতির দলের। কাগিসো রাবাডার ওভারের দ্বিতীয় বলে মায়াঙ্ক বাউন্ডারি মারেন। তৃতীয় ডেলিভারি ইয়র্কার করেন রাবাডা। মায়াঙ্ক কোনওরকমে মিড অন এর দিকে শট খেলেন। ফিল্ডার কাছে ছিল না। তাই দুইরান নেওয়ার সুযোগ ছিল। মায়াঙ্ক ও জর্ডন দুইরান পূর্ণ করেন। কিন্তু স্কোয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার নিতীন মোহন জানান, জর্ডনের ব্যাট ক্রিজ ছোঁয়নি।
ফলে তিনি এক রান বাতিল করে দেন। এরপর টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, জর্ডনের ব্যাট ভাল মতা ক্রিজ ছুঁয়েছে। তারপরই আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। যদিও এবারই প্রথম নয়। এর আগেও আইপিএলের জঘন্য আম্পায়ারিং নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। বিসিসিআই এই ব্যাপারে নিরুত্তাপ থেকেছে।
প্রীতি এরপর টুইটারে লেখেন, এই করোনা পরিস্থিতি এতটা রাস্তা পেরিয়ে দুবাই যাই। তারপর ছয়দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে, পাঁচবার করোনা পরীক্ষা করিয়েও হাসিমুখে ছিলাম। কিন্তু এই শর্ট রান আমাকে প্রচণ্ড আঘাত করেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যদি ঠিক করে না হয় তা হলে সেটা রেখে দেওয়ার মানেটা কী! বিসিসিআইয়ের এবার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রতি বছর একই কাণ্ড চলতে পারে না।
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন