পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘরের উপর পলিথিন দিয়ে কোনরকম রোদবৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বসবাস দীর্ঘদিনের অসুস্থতার কারণে চেষ্টা করেও ঘরের জীর্ণশীর্ণতা দূর করতে পারেনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র আব্বাস আলী।
কাঠফাটা রোদে পুড়ে আর বৃষ্টি বাদলে ভিজে বসবাস। যদি কখনো শিলাবৃষ্টি হয় তবে তো কোন কথায় নেই নতুন করে আবার পাটকাঠির ঘরে দিতে হয় পলিথিনের ছাউনি।
এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটানোর কথা শুনে চলতি মাসের গেল (২১শে মার্চ) তারিখে বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর দক্ষিণ পাড়ায় আব্বাস আলীর ঘর দেখতে যায় ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।
নিজ চোখে দেখে আসেন অসুস্থ আব্বাস আলীর দুরবস্থা। আশ্বাস দেন আব্বাস আলীর নতুন ঘর করে দেওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আব্বাস আলীকে বামন্দী বাজার থেকে ঘর মেরামত করতে প্রয়োজন পরিমাণ ঢেউটিন কিনে দেন চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।
ঢেউটিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে আব্বাস আলী বলেন, আমি সংসার জীবনে একসময় স্বচ্ছলতা ছিলো কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধীর কারণে এখন অসহায়ত্বর বোঝা বইতে হচ্ছে। অনেকদিন চেষ্টা করেও পাটকাঠির ঘর পরিবর্তন করতে পারিনি। চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আমাকে ঘর মেরামত করতে টিন কিনে দিলেন এবং সবসময় সহোযোগিতা করার কথা বলেছেন।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, আমার ইউনিয়নে আব্বাস আলীর মতো কোন মানুষ যদি অসহায় অবস্থায় থাকে তবে আমি জানলে তার পাশে সার্বিক সহোযোগিতা নিয়ে দাঁড়াবো।