সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের রেভিনিউ স্ট্যাম্পের টাকা চলে যাচ্ছে বিল আদায়কারীর পকেটে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখার বিদ্যুৎ বিল আদায়কারী শরিফুল ইসলাম প্রতিনিয়ত এ কাজটি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখায় পরিশোধিত একটি বিদ্যুৎ বিলের কপি পরীক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। মোঃ আশাদুল ইসলাম নামের এক গ্রাহকের ৬৭৩/- টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও বিলের গ্রাহক কপিতে কোন রাজস্ব টিকিট পাওয়া যায় নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাঁচশত টাকার উর্দ্ধের সকল বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহক কপিতে ১০ টাকা মুল্যমান একটি রাজস্ব টিকিট লাগানো বাধ্যতামুলক। কিন্তু সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গ্রাহকের কপিতে রাজস্ব টিকিট না লাগিয়ে পরবর্তীতে অন্যথায় টিকিট বিক্রি করে বিক্রির টাকা চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিল আদায়কারীর পকেটে। এভাবে প্রতিনিয়ত সরকারি রাজস্বের বড় একটা অংশ নীরবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। যেটা দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে বিল আদায়কারী শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ায় লাগানো হয়নি। রাজস্ব টিকিট ব্যতীত বিল নিলেন তাহলে রাজস্বের এই টাকা টা কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, ঐ হিসাব টা আমি দেবো।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) ফ্লোরিডা পারভীন বলেন, চলমান মাসের প্রতিটি ৫শ টাকার উর্দ্ধের বিদ্যুৎ বিলের জন্য দশ টাকার একটি রাজস্ব টিকিট দেয়া হয়। তারা যদি এমনটি করে তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখায় বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে গেলে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় বিদ্যুৎ বিল না নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে গ্রাহককে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান এক ভুক্তভোগী।