বাল্যবিয়ের অভিশাপে ঘর ছাড়তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিনা খাতুন (১৪)।
রবিবার দুপুরে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উসমান গনির কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর কাছে এ অভিযোগ জানায় এই কিশোরী বধু।
বিনা খাতুন মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইকতার আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, বিনা খাতুনের মা মারা যাওয়া পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা তাকে লালন পালন কওে বড় করে তোলে। তার বাবা শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে কর্মক্ষম হারিয়ে ফেলে। ২০১৮ সালের মে মাসে একই উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামে ফয়সাল হোসেনের সাথে বিনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর সাথে মনমালিন্য হয় না। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
বিনা খাতুন জানান, ৮ মাসে আগে বিয়ে দিয়েছিল তার সৎ মা। বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর নানা ভাবে অত্যাচার করে। তাঁর সাথে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই।
মেয়ের সৎ মা সানজিদা খাতুন জানান, মেয়ের বাবা অক্ষম (শারিরীক প্রতিবন্ধী)। তাঁর কর্মকরার ক্ষমতা নাই। সে কারণেই মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়েছিলাম মেয়েটি যাতে সুখে থাকে। কিন্তু স্বামীর অত্যাচারে মেয়েটি চলে এসেছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি জানান, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিনা খাতুন নামের ওই কিশোরী একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজনকে বুধবার ডেকেছি। মেয়েটি যাতে সুষ্ঠ বিচার পাই এবং তাকে পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করা হবে।
-মুজিবনগর অফিস