নিজের বসতভিটা নাতির নামে লিখে দেয়ার কারণে পুত্রবধূর কাছে থেকে বিতাড়িত হওয়ায় মুসা করিম নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ আত্মহত্যার জন্য অনুমতি চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে মুসা করিম জেলা প্রশাসক বরাবর এ আবেদন করেন। মুসা করিম মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত ফজের হালসানার ছেলে।
আবেদনপত্রে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ আমি আমার বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। আমার স্ত্রী সহ সন্তানাদি ও নাতি নাতনী আছে। সবার জন্য আমার জমির অংশ মোতাবেক ভাগ করে দিয়েছি। অবশিষ্ট যে বাড়ির জায়গাটি রয়েছে সেটি আমার নাতী আকাশের নামে লিখে দিয়েছি। বিষয়টি জানতে পেরে আমার বড় ছেলে লালচাঁদ ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন আমাকে ও আমার নাতী আকাশকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু কেউ আমাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা কেউ করে দিতে পারেনি। যে কারণে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি।
বৃদ্ধ মুসা করিম আরও বলেন, হয় আমাকে আমার বসত বাড়ীতে ফিরে যেতে দিতে হবে, নতুবা আমাকে আত্মহত্যার অনুমতি দিতে হবে। বৃদ্ধ মুসা করিম মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বিষের বোতল হাতে করে উপস্থিত হলে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, কিছু দিন আগে স্থানীয় পত্রিকা মেহেরপুর প্রতিদিন এবিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা কোমরপুর গ্রামে মুসা করিমের বাড়িতে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ কোনো প্রতিকার না পেয়ে আজকে মুসা করিম বিষের বোতল হাতে নিয়ে আত্মহত্যার জন্য অনুমতি চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে।
আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান বৃদ্ধের হাত থেকে বিষের বোতল নিয়ে নেন এবং তার আবেদন গ্রহণ করেন। এসময় বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।