সিরাজুদ্দোজা পাভেল:
মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাকা এলাকায় অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি (টপ সোয়েল)
কতিপয় জমির মালিকরা মাটি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে অবাধে ফসলি জমির উর্বর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। মাটি বিক্রির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া সহ ফসলি জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং সেই সাথে উৎপাদিত ফসল ফলানোর ব্যঘাত ঘটছে। এ ছাড়াও যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে জমি ও রাস্তা।
অভিযোগ রয়েছে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ও ভূমি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন জনৈক চঞ্চল মিয়া নামের এক ব্যক্তি। খননকৃত মাটি নেওয়া হচ্ছে চঞ্চল মিয়ার নিজস্ব ইট ভাটায়।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে, দেখা যায় বাড়িবাকা গ্রামের হাবিলের ধানী জমিতে গভীর করে পুকুর খননের কাজ চলছে।
খননের বিষয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চালক জনি বলেন, এই মাটি যাচ্ছে চঞ্চল মিয়ার ভাটায়। মাটি কিনতে চায় বললে জনি বলেন, শহরের মধ্যে মাটি নিলে প্রতি গাড়ি এক হাজার টাকা পড়বে। দাম কমাতে হলে চঞ্চল মিয়ার সাথে কথা বলেন কারণ এই জমির মাটি চঞ্চল মিয়া কিনেছে।
পুকুর খননের বিষয়ে চঞ্চল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চঞ্চল জানান, মাটি আমি কাটছি।
জমির মালিক বাড়িবাকার হাবেল। ছোট আকারে একটি পুকুর কাটছি এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে।
ধানী জমির শ্রেণী পরির্বতন করে পুকুর করার জন্য অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুকুর কাটার কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।