যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই তারা তো নির্বাচনে আসবে না, বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান। তিনি বলেন,বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই।
শনিবার নভেম্বর সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
সংবিধান সম্মতভাবেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।’ জনগণ তখন আরও বেশি উৎসাহিত হবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য আসবে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও গুলশানের কার্যালয় বন্ধ থাকায় ইসির চিঠি গ্রহণ করার মতো বিএনপির অফিসে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খান বলেন, বিষয়টি বিএনপির জন্য লজ্জার। দলটির সাম্প্রতিক কর্মসূচি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এগুলো সহিংসতার কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এগুলোকে ‘টেরোরিস্ট অ্যাকশন’ বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি, নির্বাচনের সময় অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা নেই, যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নেই; তারা তো নির্বাচনে আসবেই না।”
নির্বাচনের সময় কোনো রাজনৈতিক দল যদি অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নেবে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ইসি নিজেই এটা জানে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এসব ব্যাপারে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফারুক খান জানান, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে যে, নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করবে।
৪ নভেম্বর সকালে বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল- আওয়ামী লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, এলডিপি, তৃণমূল বিএনপি, এনডিএম, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিজেপি, সিপিবি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বিএমএল, বিএনএফ, গণফ্রন্ট ও ইনসানিয়তা বিপ্লব বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বৈঠকে যায়নি এলডিপি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সিপিবি, গণতন্ত্রী পার্টি, বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও খেলাফত মজলিস।