চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর সাতরশিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো দুজন। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে সুমন (২০) ও এনামুল সরকারের টোলার বুদ্ধুর ছেলে সেলিম (২১)। এর আগে ২০০৮ সালে পদ্মার জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ’র গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন নিহত সেলিমের বাবা বুদ্ধু।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক। তারা রাজশাহীতে অজ্ঞাত কোনো ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার জোহরপুর সাতরশিয়া সীমান্তপথে গরু আনতে ভারতের দিকে যাচ্ছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশি রাখাল। তারা ভারতীয় সীমান্তের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে টিকলিচর নামক এলাকায় পৌঁছালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার চাঁদনিচক বিএসএফ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশি রাখাল নিহত হন।
এদিকে, বিএসএফ সদস্যরা রাতেই জিরো লাইনের কাছাকাছি এলাকায় মরদেহগুলো ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে গভীর রাতে সবার অগোচরে মরদেহগুলো পদ্মার চর এলাকায় পুঁতে ফেলা হয়। সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে কেউ মারা গেলে আইনি ঝামেলা এড়াতে এভাবেই গোপনে মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
কালের কণ্ঠ