বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে বিভিন্ন সময় নানাপর্যায়ে আলাচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলও এখনাে থামছে না নিরস্ত্র নাগরিক হত্যা। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্ত বিএসএফর গুলিতে জাহরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়ছন। নিহত জহরুল ইসলাম শিবগঞ্জ উপজলার মনাকষা ইউনিয়নর তারাপুর ঠুটাপাড়া গ্রামের আবদুল কাদিরর ছেলে।
জানা যায়, জাহরুল ইসলাম সহ কয়েক জন বাংলাদেশি রাখাল গরু আনার জন্য রাত ৩টার দিকে মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ভারতর শাভাপুর ক্যাম্পর বিএসএফ সদস্যরা গুলিবর্ষণ করলে জাহরুল ইসলাম নিহত হন। পরে তার সহযাগিরা জাহরুলর লাশ উদ্ধর করে বাংলাদেশে নিয়ে আসলে পরিবারের লাকজন গােপনে তার নানির বাড়ি বালুটুঙ্গি এলাকায় দাফন করে।
বাংলাদশর মানবাধিকার সংগঠন অধিকার তাদর ত্রমাসিক প্রতিবদনে জানিয়েছে, এ বছর জানুয়ারি থক সেপ্টেম্বর এ ন’মাসে বিএসএফর হাত ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন, অপহরণর শিকার হয়েছেন আরও ১৭ জন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ী সীমান্ত থেকে তিন র্যাব সদস্য ও তাদের দুই নারী সোর্সকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে এ নিয়ে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে এক পতাকা বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করতে গিয়ে ওই র্যাব সদস্যরা সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন একটি বাড়িতে যান এ সময় ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করে ফেললে বিএসএফ তাদের আটক করে।
এ দিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমন গতকাল সিলট সাংবাদিকদর এক প্রশর জবাব বলছন, সীমাÍ যারা মারা গছ তারা অবধভাব ভারত প্রবশর চষ্টা করছ কিংবা চুরি করত গছ। অবধভাব প্রবশ করা বন্ধ হল বর্ডার হত্যাও বন্ধ হব।
বাংলাদশ ও ভারতর মধ্য ৪,০৯৬ কিলামিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ আÍর্জাতিক সীমানায় চারাচালান ও বাংলাদশ থক কথিত অবধ অভিবাসন ঠকাত ভারতীয় সীমাÍরক্ষী বাহিনীর বিতর্কিত শ্যূট-অন-সাইট (দখামাত্র গুলি) নীতি বহাল আছ, যার প্রক্ষিত বিএসএফ কারণ কিংবা অকারণ গুলি করত পার।
বাংলাদশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা ছাড়াও বিএসএফ সন্দেহ ভাজনদের আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শন, নিষ্ঠুরভাব প্রহার এবং নির্যাতন করে থাকে বলে প্রায়ই গণমাধ্যম রিপাের্ট প্রকাশিত হয়।
সম্প্রতি দুদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যার অভিযাগ নাকচ করেন বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি বলছন, বিএসএফ-এর গুলিত যাঁরা মারা যান, তাঁদর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয় না।