আমি থাকিনি সেথায়, যদিও দেখিনি একাত্তরের
সেই পৌষের পড়ন্ত নরম রোদ্দুরের বিকেল,
সেদিন আকাশ-বাতাস জুড়ে, বাংলার পথ প্রান্তরে
বইছিল খুশির প্লাবন, আনন্দ জোয়ার অঢেল।
তবুও এখন আমি রোজ রোজই বিজয় দেখি
সবুজ দিগন্ত ফুঁড়ে উঠা লাল টুকটুকে সূর্যটায়,
লাল-সবুজ পতাকাটা আহা সুখের সমীরণে উড়ে
দেখে পুরো পৃথিবী অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।
আমি পুলকিত হৃদয়ে, মুগ্ধ নয়নে বিজয় দেখেছি
উড়ন্ত বিহঙ্গদের বর্ণিল ডানায় ডানায়,
হাজারো স্বপ্ন ছড়ায় নীল সীমানাটা জুড়ে
ঐ মুক্ত, বিস্তৃত আকাশের কাণায় কাণায়।
আমি বিজয় দেখেছি আঙ্গিনার আড়ে উড়া
মায়ের ভেজা শাড়ির মায়াবী আঁচলটায়,
রঙিন পালে দেখেছি অনাবিল বিজয় খেলা
ভাটিয়ালি গান গেয়ে মাঝি দূর দেশে চলে যায়।
আমি বিজয় দেখেছি নদীর ধারে বটের তলে
রাখালের মোহনীয় সুর ঝরা বাঁশের বাঁশিতে,
অভিমান ভেঙ্গে ফিরে আসা প্রিয়তমার
চাঁদ মুখের স্নিগ্ধ মিষ্টি হাসিতে।
আমি বিজয় দেখেছি ছোট্ট শিশুর তুলতুলে গালে
শুভ্র নির্মল হাসির সীমাহীন উচ্ছ্বাসে,
দেখেছি মায়ের ভাষাতে বুকে স্বপ্ন বাঁধা তরুণের
দৃপ্ত পায়ে পথ চলায়, দৃঢ় বিশ্বাসে।