শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সব অফিসে অর্ধেক জনবল নিয়ে পরিচালনার মতো সরকারের চলমান বিধিনিষেধগুলো আরও বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে এক সপ্তাহ পর।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়বে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই— এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তরণ করতে পারি। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যে পাঁচটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদে। তন্মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, অর্ধেক জনবল নিয়ে অফিস পরিচালনার প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করে সরকার।
বাকি সব নির্দেশনার বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটি কী পর্যায়ে আছে, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব। ’
তিনি বলেন, ‘এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, এটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশিসংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটার (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব।’
মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। একটা তারিখ দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
গণপরিবহণ সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না- বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে। এ জন্য আমাদের চূড়ান্ত সংক্রমণ একটু পরে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা চাইব, যাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সবার জন্যই ভালো। পরিবহণ সেক্টরে যারা রয়েছেন, তাদেরও আমাদের সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহণ পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো ফল পাব। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তরণ করব।