শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার এ সফর। রাজাপাকসের সফর উপলক্ষ্যে প্রধান প্রধান সড়ক বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে করোনা মহামারির মধ্যেও ঢাকায় এলেন রাজাপাকসে। সফরে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে ২৮ সদস্যের বহর।
এতে রয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিমন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী, গ্রামীণ গৃহায়ন ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী শিল্প প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শ্রীলংকান প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন।
শনিবার তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন।
এছাড়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় যেমন: বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠক শেষে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। বিকালে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
১৯৭২ সালে শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমান সরকারের মেয়াদে আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হয়।