শতভাগ টয়লেট সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ বিশ্ব টয়লেট দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় স্যানিটেশন কার্যক্রমকে শতভাগ সফলের দাবি নিয়ে বেসরকারি কয়েকটি সংগঠন দিবসটি পালন করেছে।
কুষ্টিয়া শহরে গণশৌচাগার নেই বললেই চলে। এনএস রোডের থানার পাশে একটি গণশৌচাগার ছিলো, সেটি এখন আর নেই। এছাড়াও পৌর সুপার মার্কেটের গণশৌচাগার এবং কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের টয়লেট ব্যবস্থার বেহাল দশা।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও গণশৌচাগার নেই। যদিওবা কিছু আছে সেগুলোও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিদিন শত শত মানুষ ব্যবহার করছে। সংখ্যায় অপ্রতুল ছাড়াও সেগুলেতে নারী-পুরুষের আলাদা ব্যবস্থা জোরদার নয়।
এমতাবস্থায় সার্বিকভাবে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে স্যানিটেশন কার্যক্রম জোরদার করে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, শপিং মল ও পাবলিক স্পেস তৈরির অনুমোদনের সময় গণশৌচাগার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এপেক্স ক্লাব অব কুষ্টিয়ার প্রেসিডেন্ট বিএম বাবু গণশৌচাগারে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত এবং সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট সুবিধা না থাকায় ডায়রিয়া, কলেরাসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। তাই সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি শিশু মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন।
সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্যানিটেশন সুবিধা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। মজমপুর বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জজকোর্টসহ এনএস রোডের বিভিন্ন মার্কেটে গণশৌচাগার নেই। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করলেও তাদের জন্য সঠিক টয়লেটের কোন ব্যবস্থা নেই। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে গণশৌচাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষনের দাবি জানান তিনি।