বিয়েবাড়িতে খাবারে মাংস কম পড়তেই ক্ষিপ্ত বরপক্ষ। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি গড়ায় প্যান্ডেল ভাঙচুরে। এরপর সব মিটমাটের দিকে এগোলেও বেঁকে বসেন কনে। বিয়ে হতে না হতেই বরপক্ষের চরম অভদ্রতায় বিয়ের আসরেই তৈরি হয় ‘তালাকপত্র’। বিয়ের পর নতুন সংসার করার আগেই বিয়ে ভাঙলেন পাত্রী।
অবাক লাগলেও, রুপালি পর্দার মতো এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের গলসির বাহিরঘন্না গ্রামে ঘটেছে। যা শুনতে সিনেমার গল্প বলে মনে হলেও, বাস্তবে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন নববধূ। তার কথায়, যারা সামান্য মাংসের জন্য বিয়েবাড়িতে এমন হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটাতে পারে, আর যা-ই হোক তাদের বাড়ির বউ হতে পারব না।
জানা গেছে, ঘটনার দিন গলসির বামুনাড়া গ্রামের বাসিন্দা বর প্রায় ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে দুপুরে মেয়ের বাড়ির এলাকায় দুপুরে মসজিদে বিয়ে করতে আসেন। কনের বাবা পেশায় দিনমজুর হলেও, মেয়ের বিয়ের জন্য যথাসাধ্য আয়োজন করেছিলেন। সব কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল। তবে বরপক্ষ খেতে বসতে না বসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিয়ের আসর।
এদিকে কনের এমন সিদ্ধান্তে প্রথমে কিছুটা চিন্তায় পড়লেও, পরে তাতেই সম্মত হন পাত্রীর বাবাও। তার কথায়, ‘প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও পরে মেয়ের সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানাই। ওই বাড়িতে গেলে ও কিছুতেই ভালো থাকতে পারত না।’ শুধু পাত্রীর বাবাই নয়, আশপাশের অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।