শুক্রবার সকালে আবদুল কাদের (৩২) নামের ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিন দুপুরে তার বিয়ে করার কথা ছিল। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।
পরিবার জানিয়েছে, করোনার কারণে আবদুল কাদের ২৫ দিন আগে সৌদি আরব থেকে বাড়িতে চলে আসেন। শুক্রবার দুপুরে তার বিয়ের জন্য সব আয়োজনও সম্পন্ন হয়।
এদিন ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে এসে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে নিখোঁজ হন আবদুল কাদের। তিন ঘণ্টা পর উপজেলার কেরোয়া ইউপির খলিফা মসজিদসংলগ্ন জগার বাড়ির সুপারি বাগানের ভেতরে পরিত্যক্ত পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়।
আবদুল কাদের একই এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে। বিয়ের দিন হঠাৎ করে তার মৃত্যুতে পরিবারেশোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের বাবা জয়নাল আবেদিন জানান, সৌদি আরব থেকে ফিরে বেকার সময় পার করছিল আবদুল কাদের। এতে সে হতাশাগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার চিকিৎসাও করা হয়। সম্প্রতি তার ইচ্ছাতেই পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। আজ তার বিয়ের দিন ছিল।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে আসে কাদের। দুই ঘণ্টা পর কাদের ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। কিন্তু অনেকটা জোর করেই বাইরে বের হয়ে যায় সে। তিন ঘণ্টা পর পুকুরে কাদেরের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য সদর হাসপাতাল পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃতর মামলা হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।