বিয়ের ১৮ মাস পরেও কোন বিষয়েই স্বামীর সাথে ঝগড়া তো দূরের কথা কখনও কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি। বদলে সবকিছুই মুখ বুঝে সহ্য করে গেছেন স্বামী। স্ত্রী’র অন্যায় দেখলেও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন স্বামী। তাকে ভালোবেসেছেন। স্বামীর এই মনোভাব কোন ভাবেই সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় শরিয়া আদালতে গিয়ে তালাক চাইলেন এক মুসলিম নারী।
অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্বল জেলায়। আদালতে ওই নারী জানায় স্বামী তাকে এতটাই ভালবাসেন-যে তা সহ্য করতে পারছেন না ওই নারী। বিয়ের ১৮ মাস পরেও স্বামীর সাথে কোন বিবাদ না হওয়ায় তিনি খুবই বিরক্ত বোধ করছেন।
আদালতে তিনি জানান ‘কোন বিষয়েই আমার স্বামী কখনওই আমাকে চিৎকার করে কথাও বলেননি বা তিনি কখনও আমার কোন ব্যাপারে হতাশাও জানায়নি। এমনকি আমার স্বামী আমার জন্য রান্না করে এবং ঘরের প্রতিটি কাজেই সে সহায়তা করে।’
ওই নারী আরও জানান ‘আমি যখনই কোন ভুল করি, সেই কাজের জন্য আমার স্বামী আমাকে ক্ষমা করে দেয়। আমি চেয়েছিলাম যে বিষয়টি নিয়ে তিনি আমাকে কিছু বলুক, আমাকে বকা দিক। তাই আমি এমন কোন জীবন চাই না যেখানে স্বামী সবকিছুই মেনে নেবেন।’
স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাওয়ার কারণ হিসাবে মুসলিম নারীর এই বক্তব্য শুনে হতবাক শরিয়া আদালতও। গোটা বিষয়টিকে ‘বাজে’ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে আদালতের ধর্মগুরু সেই তালাকের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
আদালতের কাছে প্রত্যাখিত হয়ে শেষে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু ওই মুসলিম নারীর বক্তব্য শুনে স্থানীয় পঞ্চায়েতও কোন যথোপুযুক্ত সিদ্ধান্তে আসতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন তিনি তার স্ত্রীকে ভালবাসেন এবং যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন স্ত্রীকে সুখী রাখতে চান। আর এতে তিনি কোন অন্যায় কাজ করেছেন বলে তিনি মনে করেন না। আসলে তিনি চান একজন আদর্শ স্বামী হতে।
সূত্র- বিডি-প্রতিদিন