মেহেরপুরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ১৫ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র জরুরী কাজে ব্যবহৃত ওষুধের দোকান ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা যাবে। এছাড়া হোটেল রেস্তোরা সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, কাঁচাবাজার সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখা যাবে। এছাড়া পুরোপুরি বন্ধ থাকবে সকল ধরণের চায়ের দোকান, ইজিবাইক চলাচল, পাখি ভ্যান চলাচল । মোটরসাইকেলে শুধুমাত্র চালক একা চলাচল করতে পারবে। রিক্সাতে জরুরী প্রয়োজেনে এক জন যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির কমিটির এক জরুরী (জুম) সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহীন পৌর মেয়র আহমেদ আলী, সাংবাদিক ফজলুল হক মন্টু, আলামিন হোসেন, মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ইতমধ্যে মেহেরপুরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লকডাউন চলছে। পুরোপুরি লকডাউন দেওয়া হয় জেলার তিনটি গ্রামকে। তবে এবার পুরো জেলার প্রতিটি গ্রামে এ লকডাউন কঠোরভাবে পালন করার আহবান জানানো হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া বিজিবি ও আনছার সদস্যদের লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নামানোর চিন্তাও করা হয়েছে।