দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামে শরিফুলের উস্তে ও শসা বাগান জোরপুর্বক কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে। এঘটনায় দর্শনা থানায় করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ জানা যায়, ফুরশেদপুর গ্রামের রবিউল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম একই ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মৃত সাদেকের ছেলে জহিরুলের নিকট হতে ৭০ হাজার টাকায় ২ বছর চাষাবাদের জন্য ৩ বিঘা ৬ কাঁঠা মাঠান জমি মৌখিক ভাবে বন্ধক গ্রহণ করে।
বন্ধককৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু করে শরিফুল। বন্ধককৃত জমির সময়সীমা শেষ হওয়ার পূর্বেই জমিতে থাকা ফলন্ত উস্তের বাণ ও বপনকৃত শসার বীজ নষ্ট করে চাষাবাদের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের হরিশপুর উত্তরপাড়ার মৃত আহাদের ছেলে আ.লীগ নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শর্ত অনুযায়ী জমি লীজের মেয়াদ ২ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত জমি মালিক জমি নিতে পারবে না। নির্ধারিত সময়ে জমি গ্রহণ করিতে হইলে মালিকপক্ষকে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস পূর্বে লীজ গ্রহীতাকে জানাতে হবে।
এদিকে সকল শর্ত উপেক্ষা করে ১ মাস ৭ দিন পূর্বে জমির মালিক জাইরুলের প্ররোচনায় ২ নং বিবাদি সেলিম গত ১৫ জুলাই বুধবার সকাল ৮টায় জমি লীজ গ্রহীতাকে না জানিয়ে জোরপূর্বক ভাবে জমিতে থাকা ফসলাদি নষ্ট ও বাণ ভাঙ্গিয়া ফেলে।
এ বিষয়টি জানতে পেরে লীজ গ্রহীতা শরিফুল ইসলাম ২ নং বিবাদীকে এরুপ করার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধামকী করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এঘটনায় শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে দর্শনা থানায় জাইরুল ও সেলিমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।এবিষয়ে সেলিমর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।