চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুরে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনেকে কেন্দ্র করে দুটি প্যানেলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
উক্ত ঘটনায় আহত হয়েছে তিন জন। এঘটনায় কমিটি ঘোষণার পরিবর্তে স্থগিত করে ফিরেছে দর্শনা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
জানাগেছে, বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র কমিটি গঠনের দিন ধার্য ছিলো। সে অনুযায়ী বিকাল ৪টার দিকে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদে চত্বরে কমিটি গঠনের লক্ষে বিএনপি নেতা হানিফ আলীর সভাপতিত্ব বসে কমিটি গঠনে বৈঠক।
কমিটির পদপদবী পাওয়ার জন্য ওয়ার্ডের শফি ও জাফর প্যানেল জিল্লুর ও মোস্তফা প্যানেল দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়।
আলোচনা শেষে কমিটি গঠনে মাঠ পর্যায়ে জনসমর্থনের দাবি তোলে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান সনম্বয়কারী খাজা আবুল হাসনাত ৫ জন নিয়ে আলোচনা করে কমিটির নাম ঘোষনা করার প্রস্তাব রাখেন।
এ কথা শুনা মাত্রই নেতাকর্মীর দিক থেকে শফি ও জাফর প্যানের সংখ্যায় বেশি হওয়ায় হট্রোগোলের পথ বেঁছে নেয় জিল্লু-মোস্তফা সমর্থকেরা। সমাবেশ স্থলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা।
এরই একপর্যায় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও টেবিল-চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে বেগমপুরের ইদবারের ছেলে আকিদুল ও নায়েব আলীর ছেলে স্বপন সহ আহত হয় তিন জন। এ
সময় পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে ৫ দিনের সময় নিয়ে কমিটি গঠন স্থগিত ঘোষনা করেন সমন্বয়কারী খাজা আবুল হাসনাত।
ব্যাপারে সমন্বয় টিমের সদস্য আসলাম উদ্দিন বলেন, এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি। পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
খাজা আবুল হাসনাত বলেন, আমার উপস্থিতিতে কেউ মারামারি করেনি। বিএনপি একটি বৃহত্তর সংগঠন এখানে প্রতিযোগিতা থাকবে। বর্তমানে ওই কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়েছে।