বৈরুতে বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত এতে শতাধিক লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি।
বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলছেন, এখন পর্যন্ত দুজন বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছি।
বিবিসি বাংলার খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
বৈরুতের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, মারা যাওয়া দুজন বাদে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৯ জন বাংলাদেশি বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
বিস্ফোরণে আরও বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে আরো কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা, তা জানতে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
এদিকে বৈরুত বন্দরের একটি ওয়্যার হাউসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত মেডিকেল সেন্টারে (এইউবিএমসি) ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদের ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার/অ্যাম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত।
শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌ সদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নৌবাহিনী জাহাজ বিজয়ের বিস্তারিত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌবাহিনী জাহাজ, ইউনিফিল সদর দফতর ও বৈরুতস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে নৌবাহিনী সদর দফতরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
ইউনিফিল হেড অব মিশন এবং ফোর্স কমান্ডার ও মেরিটাইম টাস্কফোর্স কমান্ডার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে তারা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনার অব্যবহৃত পরই বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মোস্তাহিদুর রহমান সরেজমিন বানৌজা বিজয় পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও যথাযথ চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করেন।
সূত্র- যুগান্তর