মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ঘটনায় ঠিকাদার ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উল্টো শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে ছাদ ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করিম রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে।
তবে এ ঘটনায় মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় প্রধান শিক্ষা প্রকৌশলী বরাবর এলাকাবাসির পক্ষ থেকে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী সহ অভিযুক্তদের লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক ছাদ ঢালাই শেষ করা হয়েছে। ঠিকাদার কিংবা দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না জানিনা।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করীম বলেন,স্থানীয় ছেলেরা রাতে ছাদে বসে থাকে এ নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনের ঝামেলা তৈরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। পরে সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজ শেষ করা হয়েছে। সভাপতি,প্রধান শিক্ষক,ঠিকাদারের ম্যানেজার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেও তিনি দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীর গাইতে শুরু করেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবি অনিয়ম আড়াল করতে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহেদুল করীম মিথ্যাচার করছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী,শিক্ষামন্ত্রী, প্রধান শিক্ষা প্রকৌশলী বরাবর এলাকাবাসির পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করা হবে।
কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: খবির উদ্দীন জানান,সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সঠিক ভাবে কাজ করেছে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বৃহস্পতিবার কাজ করেছে। একারনে শিক্ষক ও এলাকাবাসি কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সুব্রুত রায় জানান, বালি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে লোকাল বালি দিয়ে কাজ করতে যাচ্ছিলেন মিস্ত্রিরা। এসময় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি জানার পর গতকাল শনিবার সকাল থেকে আমি নিজে উপস্থিত থেকে উন্নত মানের বালি দিয়ে কাজ করিয়েছে।
উল্লেখ্য : ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়ার আনোয়ার আলী নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনের ছেলে তনু। নিম্নমানের বালি দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর নির্মান কাজ বন্ধ করে শিক্ষক সহ এলাকাবাসি।