করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বুলেটের গতিতে বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এই মহামারী হঠাৎ করে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছে যে, হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে তো দূরের কথা, সাধারণ বেডও খালি পাওয়া যাচ্ছে না।
এ পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাওপাওলোর মেয়র ব্রুনো কভোস বলেছেন, জরুরিভিত্তিতে নতুন বেডের ব্যবস্থা করতে না পারলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়বে। খবর বিবিসির।
সাওপাওলোর মেয়র আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে ৯০ শতাংশ বেড আরও আগেই ভর্তি হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি কী হবে তা কেউ বলতে পারবে না।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে সাওপাওলোর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। শুধু এ শহরেই ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে।
আক্রান্তের সংখ্যায় দেশটি রোববার ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও ইতালিকেও ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৮০ জন।
হঠাৎ করে লাতিন এ দেশটি আক্রান্তের দিক থেকে এক লাফে পঞ্চমস্থানে উঠে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ৪৮৫ জন মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন নতুন করে ৭ হাজার ৯৩৮ জন। ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১৮ জনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করে বলেছিল– করোনাভাইরাসের পরবর্তী ‘হটস্পট’ ব্রাজিল। সেই সতর্কতা এখন সত্যি হতে চলেছে। গেল এক সপ্তাহে দেশটিতে হু হু করে বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি।
করোনা রোগীর সংখ্যায় ইতিমধ্যে ফ্রান্স ও ইতালিকেও ছাড়িয়ে গেছে ব্রাজিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নতুন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে লাতিন আমেরিকার এ দেশটি। এদিকে দুই মাস পর মৃত্যু একশর নিচে নামল স্পেনে। সূত্র-যুগান্তর