ঝিনাইদহ উপ-শহরের মহিষাকুন্ডু কমিউনিটিতে বাস করে তাহমিনা খাতুন। সাংসারিক অবস্থা খুবই খারাপ। দুবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে অনেক রকম চেষ্টা করে। তিনি জানলেন, একদিন জানলাম ব্র্যাক ইউডিপি থেকে স্বল্প সুদে লোন দেওয়া হয়। সে কারণে আমি প্রতিমাসে ব্র্যাকের পিজি মিটিংয়ে যেতে থাকি।
সেখান থেকে লাইভলিহুড সাপোর্টের কথা শুনি এবং তার পর আবেদন করি সিডিও কমিটির কাছে। সিডিও আমার অবস্থা যাচাই বাচাই করে ইউডিপি কে জানাই সিডিও সম্মতি প্রকাশ করে।
এভাবে ব্র্যাকের নিকট থেকে হাফ রিকভারী শর্তে ১০হাজার টাকা সাপোর্ট পাই। তারপর তাহমিনা কিছু কবুতর এবং খাবার কিনে ব্যবসা শুরু করে দেয়। যেটা তার করোনাকালীন বন্ধুরমত কাজ করেছে।
এভাবে কবুতর বিক্রি করে ব্যবসায়ের আরও প্রসার ঘটিয়েছে। কবুতরের পাশাপাশি হাঁসের ব্যবসাও করছে তাহমিনা।
এখন তার আর্থিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন এসেছে। টিউবয়েলসহ বাথরুম পাকা করেছেন। তার স্বামী বেকার নিজের কোন ব্যবসায় নেই, স্ত্রীর কাজে সহযোগীতা করে। এভাবে তাহমিনার সংসারে এখন সুখ ফিরে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে তাহমিনা বলেন, আমি ব্র্যাকের ইউডিপিকে ধন্যবাদ জানায় আমার ঋণ দেওয়ার জন্য। তাদের এই ক্ষুদ্র সহযোগীতা আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়েছে।