২০২০ শুধু নতুন একটা বছর নয়, নতুন দশকেরও শুরু। বছরটা নিয়ে অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিভিন্ন সময়ে। তাঁদের মধ্যে মার্কিন উদ্ভাবক রে কুর্জওয়েইল অন্যতম। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও এই তালিকায় আছেন। ২০২০ সালটা যখন চলেই এল, চলুন দেখা যাক, ভবিষ্যদ্রষ্টার অনুমানের সঙ্গে বাস্তবতার কতটা মিল রয়েছে।
কম্পিউটার অদৃশ্য হবে
ঘটনা সত্য বলা যায়। পেটমোটা কম্পিউটারের দিন শেষ। এখন দেয়ালে, আসবাবে, অলংকার থেকে শুরু করে শরীরে কম্পিউটার মিশে থাকে। সবকিছু তারহীন হয়ে যাচ্ছে।
কাগজের বই বা নথি থাকবে না
বই প্রকাশনাশিল্পের আকার হ্রাস পেলেও এখনো ছাপা বইয়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশসহ প্রায় সব দেশের জন্যই তা সত্য। আর ডিজিটাল নথির ব্যবহার বাড়লেও কাগুজে নথি বিলুপ্ত হওয়ার ঢের বাকি।
প্রত্যেকের প্রতিটি পদক্ষেপ নজরদারির আওতায় আসবে
এমনটা হচ্ছে বলে অনেকেই মানেন। পকেটে স্মার্টফোন থাকলেই আক্ষরিক অর্থে ব্যবহারকারীর পদক্ষেপের হিসাব রাখা সম্ভব। তার ওপর স্মার্টঘড়ির মতো স্মার্ট অনেক ট্র্যাকার আমাদের সঙ্গে থাকছে। পথে পথে ক্যামেরা আমাদের চেহারা শনাক্ত করছে। এরপর নাকি সরাসরি মস্তিষ্কে কম্পিউটারে যুক্ত করা হবে।
আমাদের চালকবিহীন গাড়ি থাকবে
আংশিক সত্য। টেসলা, গুগলের ওয়েমোর পাশাপাশি রাইড ভাগাভাগির সেবা উবারও চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের অনেক দেশে পরীক্ষামূলক যাত্রী পরিবহনও শুরু হয়েছে। তবে সর্বসাধারণের স্তরে আসেনি এখনো।
মঙ্গলে পা রাখবে মানুষ
এখনো না। অন্তত মানুষ পারেনি। তবে আটটি মানুষহীন মহাকাশযান মঙ্গলে অবতরণ করেছে।
মানুষের ব্যক্তিগত ভার্চ্যুয়াল সঙ্গী থাকবে
বিল গেটসের অনুমান ছিল এটি। আমাজনের অ্যালেক্সা, গুগলের অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাপলের সিরি অনেকটা তেমনই। ওয়েব থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়, কাজের কথা মনে করিয়ে দেয়, নির্দেশ পালন করে—বলা যায় গেটসের অনুমান ঠিকই ছিল।
ইন্টারনেট আর মস্তিষ্ক এক হয়ে যাবে
প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড়সড় উদ্ভাবনের খবর মেলেনি। অন্যদিকে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস নিয়ে মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক, ইলন মাস্কের নিউরালিংকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র: ইউএসএ টুডে