গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম বলেছেন, ব্যাস্ততম কোলাহল মূহূর্তগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা ডিসি ইকোপার্কে আসি। ফলে এই এলাকার বিনোদনের একমাত্র স্থান হয়ে উঠেছে এই ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কটি।পরিবারে পরিজনদের সাথে নির্মল কিছু সময় কাটানোর জন্য এখানে আসেন এলাকার বিনোদন প্রিয় মানুষ।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গাংনীর ভাটপাড়া ইকোপার্ক ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ৩ দিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা তিন টার দিকে ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)নাজমুল আলম।
বীর মুক্তিযোদ্ধ পাতান আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) প্রকৌশলী নিরঞ্জন চক্রবর্তি, গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজিৎ নন্দী।
ইকোপর্ক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমুল আলম আরও বলেন, পার্কটি সুন্দর রাখা এবং সচল রাখা এলাকাবাসির যেমন দায়ীত্ব। পার্কটির উন্নয়ন এবং ভাল কিছু করার জন্য সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন।পার্কটির উন্নয়ন সাধণের জন্য সরকারীভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন দীর্ঘদিন সরকারীভাবে ভূমিকা না থাকায় এই ভাটপাড়া নীলকুঠিটি এককালে অপরাধীদের আশ্রয়স্থল ও মাদকাসক্তদের আশ্রয়াস্থল হয়ে উঠেছিল।জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে এটি পার্কে রুপান্তর করাই শুধু জেলার মানুষ নয়, আশ পাশের জেলার বিনোদন প্রিয় মানুষজনও এখানে আসছেন।
পর্যটকরা এখানে আসার ফলে এই এলাকা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় এই এলাকার মুনষের জীবন যাত্রার উন্নয়ন হচ্ছে।পার্কটি টিকিয়ে রাখা এবং এর আরো উত্তোরোত্তর উন্নতি করা সকলের দায়ীত্ব।তিনি বলেছেন পার্কের খুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে।এছাড়া বাউন্ডারী ওয়ালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।