টানা ৯ প্রান্তিকে নীতি সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। আগের আট প্রান্তিকের মতো আগামী জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের জন্য নীতি সুদের হার থাকবে ৪ শতাংশ।
ভারতের বাজারে নানা ধরনের আলোচনা ছিল। প্রবৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়াতে স্থিতাবস্থা, নাকি মূল্যস্ফীতিতে লাগাম পরাতে সুদবৃদ্ধি, ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাংক কোন কৌশল নেবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মধ্যপথেই হাঁটল আরবিআই। সুদের হার অপরিবর্তিতই রাখল।
বিজ্ঞাপন
চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৯ দশমিক ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখল তারা। তারা বলছে, মহামারির পরে জাতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু তা এখনো যথেষ্ট গতি পায়নি। বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন বিরূপ ঘটনার প্রভাব থেকে বের হয়ে আসার শক্তি এখনো সঞ্চয় করতে পারেনি ভারতীয় অর্থনীতি। ফলে ঝুঁকি কিছুটা থেকেই যাচ্ছে। আর করোনার অমিক্রন ধরনকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সরাসরি ছাঁটাই করেছে ফিচ রেটিংস।
ভারতের রেপো রেট (যে সুদে স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাংককে রিজার্ভ ব্যাংক ঋণ দেয়) ও রিভার্স রেপো রেট (যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে শীর্ষ ব্যাংক স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেয়) এই মুহূর্তে ঐতিহাসিকভাবে কম। তবে বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদের একাংশ তুলে নিতে কিছু কৌশল নিয়েছে আরবিআই। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি এভাবে বাড়তি থাকলে আগামী বছর সুদের হার বৃদ্ধি কার্যত অবশ্যম্ভাবী।
বুধবার ঋণনীতি ঘোষণার পর রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, করোনার পরে অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে চাহিদা ও বিক্রি। তবে তাঁর বক্তব্য, আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে কিছুটা শিথিলতাও থেকে গেছে। মানুষের কেনাকাটা এখনো করোনার আগের অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি। সে জন্য এখনো নীতিসহায়তা প্রয়োজন।