ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই দেড় বছর চলছে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে দিন দিন কমছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান। এতে প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হলেও নিয়োগের কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগ যথারীতি চলছে। ইতোমধ্যে দুই জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের বানিজ্য হলেও ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়নে একটি টাকা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেক আলী।
সভাপতি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেড় বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি ঝুলিয়ে রেখেছেন বলে একটি সূত্র দাবী করেছেন। সভাপতির নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বাধাগ্রস্ত করছেন। এক্ষেত্রে একবারও প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ ফাঁকা থাকলে শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য পদে নিয়োগ চলছে অথচ যেটা জরুরি সেই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ হচ্ছে না। এমন পরিবেশে আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কেন্দ্র করেই সে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য রচিত হয়। অথচ কিছু মানুষ নিজেদের সুবিধা আদায়ে ও নিয়োগ বাণিজ্য করতে বছরের বছর ধরে এসব স্কুল ও কলেজে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত করেন।
এব্যাপারে মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দীন জানান, পরস্পর জানা শোনার মধ্য দিয়ে একজন প্রধান শিক্ষক খোঁজা হচ্ছে। এধরনের চেনা জানা প্রধান শিক্ষক পাওয়া যায়নি বলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তাছাড়া গ্রামের স্কুল এজন্য সার্কোলারও দেওয়া হয়নি। চেনা জানা প্রধান শিক্ষক পাওয়া গেলে পত্রিকায় সার্কোলার দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাছ উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর নির্ভর করে। পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকলে সেখানে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে অতি দ্রুত যাতে নিয়োগ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।