ভাস্কর্য নিয়ে কোন অপব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, আলেম-উলামা মাশায়েখের নাম দিয়ে কিছু লোক মাঠ উত্তপ্ত করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে। তারাই কুষ্টিয়ার এই ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে।
রবিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় তিনি একথা বলেন।
হানিফ বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের দেশে সকল মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বসবাস করে। একদিকে মাগরিবের আজান হচ্ছে আবার অন্যদিকে শাখা বাজিয়ে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীরা তাদের রীতিনীতি অনুযায়ী পূজা অর্চনা করতেন।
ইসলামে উগ্রবাদের স্থান নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তাদের কথার সঙ্গে ইসলামের কোনো মিল নেই। কিন্তু আলেমদের নাম করে যারা উগ্রবাদের কথা বলছে সেটা ইসলাম বলে না। ইসলাম শান্তির কথা বলে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও পতাকা উত্তোলন করতে এবং তাদের মনিটরিং করতে কুষ্টিয়ার মাদরাসা সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোরভাবে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
এদেশ আমাদের সকলের। তবে রাজনীতির কারণে সমাজে বিভেদ আছে।
আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এজন্য সকল বিভেদ ভুলে সুন্দর ও সুখী সমাজ গড়তে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজুনসহ সকল সরকারি দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজন।
সভায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ। তিনটি শব্দই এক।
বঙ্গবন্ধুর হাত মানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের হাত। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে হামলা চালিয়ে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বাংলাদেশকে ভালো চায় না।
ঘটনার পর আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের বেশ কিছু টিম আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করে কাজ করছি। আমরা শীঘ্রই ভালো কিছু জানাতে পারবো।
পৌরসভা ভাস্কর্য স্থাপন করছে তা প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসনকে অবগতি করেননি পৌরসভা কতৃপক্ষ। অবশ্যই জেলা প্রশাসনকে জানানো প্রয়োজন ছিলো বলে জানান কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব (কেপিসি)’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।