প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্কটে পড়া অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করলে সে যে দলেরই হোক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে ঘরবন্দি দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ হাজার কোটি টাকা) বরাদ্দ দিয়েছেন, যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। তবুও রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হয়ে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা আপনারা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু আজকেই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে-সরকারের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে, গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিক্ষোভের অনেকগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় অরগানাইজ করে এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।’
সরকার প্রতিটি দুস্থ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নয়; সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।’
ত্রাণের জন্য হটলাইন খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে কেউ ফোন করলে তাকেও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা আশপাশের কোনো দেশে করা হয়েছে, আমি অন্তত জানি না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই যখন ব্যবস্থা করা হয়েছে তখন প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়। আর কয়েকটি ফটোসেশন করা হয়। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন