মর্তুজা ফারুক রুপক:
অবশেষে ভৈরবের কচুরিপানা অপসারণ করার কাজ শুরু হয়েছে। দির্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ঢেকে থাকা ভৈরব ফিরে পেতে যাচ্ছে তার চির চেনা রুপ। বর্ষার প্রভাব এ বছর কম, সে হিসেবে পানির প্রবাহ কম থাকলেও চোখে পড়ছে ভৈরবের সচ্ছ পানি। ইতিমধ্যে মেহেরপুর থানা ঘাট থেকে যাদবপুর গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত কচুরিপানা অপসারনণ করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশসনের তথ্য অনুযায়ি মেহেরপুর জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত ধীরে ধীরে অপসারন করা হবে।
২০১৫ সালে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৯ কিলোমিটার ভৈরব পুনঃখনন করা হয়। খননের পর থেকে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ ও কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছিল ভৈরব। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ভৈরব খনন করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছিল।
ভৈরবের কচুরিপানা নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়াম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সেচ্ছায় কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু হয়। তারপর থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ চলতে থাকে। এর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম এর সহায়তায় অপসারণ কাজ আরও গতিশীল হয়।
কচুরিপানা অপসারণে মেহেরপুরের সাধারণ জনগন সাধুবাদ জানিয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় জেলেরা ব্যাপক খুশি। সাইফুল, আলমগীর, আনোয়র সহ বেশ কয়েকজন জেলে জানান, আমাদের একমাত্র নদ ভৈরব। নদটি পুনঃখননের পর থেকে কুচুরিপানায় ঢাকা ছিল। এই কচুরিপানা অপসারণ করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই সু- সংবাদ। আমরা এখান থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা চালাতে পারবো।
কচুরিপানা অপসারণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, দির্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ঢেকে থাকা ভৈরবকে নতুন রুপে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর কাজ মেহেরপুরের থানা ঘাট থেকে যাদবপুর গ্রামের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমনত্রী ফরহাদ হোসেন এর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে এই অপসারনের কাজ চলছে। মেহেরপুর জেলার শুরু থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত সব কচুরিপনা অপসারণ করা হবে। শুধু তায়ই নয় অপসারণের পর পরবর্তিতে যাতে কচুরিপানা বা অন্য কোন ক্ষতিকর উদ্ভিদ ভৈরবে জমতে না পারে সেজন্য তদারকি করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ভৈরব আমাদের অনন্য সম্পদ। এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কচুরিপানায় ঢেকে ভৈরবের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমত আমি নিজস্ব উদ্যোগে জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সাথে সেচ্ছায় কচুরিপানা অপসারণ করা শুরু করি। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসন থেকে এই অপসারণ কাজ শুরু হয় এবং মেহেরপুরের সীমান পর্যন্ত সব অপসারণ করা হবে।