ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভোট চাইতে এসে প্রার্থী নিজে ও সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের হাতে নাকফুল ও টাকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মহাদেবপুর এলাকার বিউটি খাতুনের বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেনের ভাই সাইফুল হোসেন। এ সময় তিনি হাতের মধ্যে একটি নাকফুল ও ১০০ টাকা দেন। এছাড়াও দুর্গাপুর গ্রামে প্রমীলা রানীর বাড়িতে গিয়ে নাকফুল দেন প্রার্থী আমির হোসেন নিজেই।
মহাদেবপুর গ্রামের বিউটি খাতুন জানান, শুক্রবার সকালে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেনের ভাই সাইফুল এসে তার হাতে একটি সোনালি রঙের নাকফুল ও ১০০ টাকা দেন। এরপর ফুটবল মার্কায় ভোট দিতে বলা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে নাকফুল ও ১০০ টাকা ফেরত দেন।
দুর্গাপুর গ্রামের প্রমীলা রানী বলেন, শুক্রবার সকালে আমির হোসেন এসে বলে-ও বৌদি বল মার্কায় একটি ভোট দিয়েন। এরপর সে নিজ হাতে দুইটি নাকফুল দেয়। তিনি বলেন, নাকফুল আমার লাগবে না। তখন আমির হোসেন মেয়েকে দিতে বলেন। গ্রামের বিভিন্ন নারীদের এ নাকফুল দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, প্রতিপক্ষরা এর আগেও ষড়যন্ত্র করেছে। এবারো তার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে এগুলো করেছে। কাউকে টাকা দিয়ে ভোট করব না।
১নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মধুসূদন সাহা বলেন, নাকফুল দেওয়ার ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।