ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনের আমেজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশিরা ছুটছেন জনগণের কাছে। কেউ কেউ দলের উচ্চ পর্যায়েও দোড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন এর এবারের আয়োজন ‘গ্রামীণ জনপদে ভোট’ শীর্ষক সাক্ষাতকার পর্ব। পর্বে মেহেরপুর প্রতিদিন এর মুখোমুখি হয়েছিলেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আখের উজ্জামান। সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি পলাশ আহমেদ। আজকের সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশটি এখানে তুলে ধরা হলো।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনার সিদ্ধান্ত কি?
আখের উজ্জামানঃ আপনারা জানেন আমি গত নির্বাচনে বিএনপি দল থেকে ভোট করে নির্বাচিত হয়েছি।জনগন আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে এই চেয়ার আমাকে উপহার দিয়েছে যদি জনগন যদি আবারও চাই আর ভোট যদি সুষ্ঠ হয় তাহলে আবার নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হবো।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আপনার দল বি এন পি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন নির্দেশনা দিয়েছে কি না?
আখের উজ্জামানঃ কোন নির্দেশনা আসেনি তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু যায়গা তে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে বিএনপি প্রার্থী আছে সেই ক্ষেত্রে আশা করি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি থাকবে।
মেহেরপুর প্রতিদিনঃ জনগন কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন বলে মনে করেনঃ
আখের উজ্জামানঃ আমি নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তা ঘাট মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, থেকে শুরু করে করোনা কালিন সময় ১০ কেজি,১৫ কেজি,৩০ কেজি চাউল, শিশুদের জন্য দুধ সকল প্রকারজিনিস অসহায় মানুষের দারে পৌছে দিয়েছি।আমার ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ খুবই সল্প সেই সল্পতা থেকে আমি সকলকে সন্তস্ট রাখার চেষ্টা করেছি।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আপনি আপনার দল বিএনপির কাছে থেকে নোমেনেশন পাওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদি?
আখের উজ্জামানঃ আমি দলের দুর্দিনে পাশে আছি। এবং বর্তমান ক্ষমতাশালী দলের বিপক্ষে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। জনগনের ভালোবাসা আস্থা আমার উপর আছে। সেই সুবাদে আমি মনে করি আমার দল আগামী নির্বাচনে আমাকেই নোমেনেশন দিবে।নোমেনেশন পেয়ে নির্বাচনে আসলে আমার বিশ্বাস জনগন আমাকে আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
মেহেরপুর প্রতিদিন: পুনরায় নির্বাচিত হলে কি কি করতে চান?
আখের উজ্জামান: আমার ধানখোলা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে দুলতে চাই। উন্নয়নের কোন কিছুর কমতি নেই। আমার পরিকল্পনা আছে আবার যদি নির্বাচিত হয় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে যে যায়গা আছে সেখানে বড় করে একটা মার্কেট স্থাপন করবো। এবং ইউনিয়ন পরিষদের সর্বচ্চ সেবা মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে চাই।