মেহেরপুর সদর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন মহিলা উন্নয়ন অনু বিভাগের (মউ) কোটি টাকার লভ্যাংশ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত ইউআরডিও (উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ) বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি গত ১লা ডিসেম্বর নতুন ইউআরডিও এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন।
এমনই একটি অভিযোগ করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার ইউসিসিএ লি. এর সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। অভিযোগ পত্রে তিনি জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলায় মহিলা উন্নয়ন অনুবিভাগ সরকার প্রকল্প বাতিল করায় এটা আর সরকার নিয়ন্ত্রিত নয়। কিন্তু ওই প্রকল্পে সমবায়ীদের শেয়ার সঞ্চয়ের এক কোটি ২৮ লাখ টাকা রয়েছে। ওই টাকা ইউআরডি বাবুল হোসেন ডিডির যোগসাজশে সমবায়ীদের মাঝে ফেরত না দিয়ে বেআইনিভাবে ব্যাংকে এফডিআর রেখেছেন। যেহেতু এই বিভাগ ইউসিসিএ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাই ওই টাকা ইউসিসিএর মাধ্যমে সমবায়ীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু ইউআরডিও বাবুল হোসেন ও ডিডি সেটা না করে তার লভ্যাংশ লুটেপুটে খাচ্ছেন। বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও কোন হিসাব-নিকাশ ইউসিসিএর কাছে দিচ্ছেন না। এছাড়া ইউসিসিএর কর্মচারীরাও মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। ওই সকল টাকাগুলো সমিতিগুলোর মাঝে ঋণ বিতরণ করা হলে সমিতিগুলো লাভবান হবে এবং কর্মচারীরাও নিয়মিত বেতন ভাতা পাবেন। কিন্তু নিজেরা লভ্যাংশ ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ায় সমিতির সদস্যরা লাভবান হচ্ছেন না।
এছাড়াও ইউআরডিও বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ, কার্যালয়ের রেস্ট হাউজ ভাড়ার হিসেবে গড়মিল, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় আইন না মানা, সব খরচ ইউসিসিতে দেখানোসহ অন্যান্য প্রকল্পতেও একই খরচ দেখানো, সমিতির সভাপতির কমিশন না দেওয়ার অভিযোগসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ইউআরডিও বাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউসিসি এর সভাপতি হিসেবে তিনি অভিযোগ করতেই পারেন। তবে অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা রেখেছি। লভ্যাংশ উত্তোলন করে নিয়ম অনুযায়ী খরচ করি। তাছাড়া অভিযোগকারী দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ইউআরডিও’র সাথে লেনদেন করেছেন। সেগুলো তদন্ত হবে। যদি দোষী হই, দোষ মেনে নেব।