শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, ভগন্দরসহ মলদ্বারের বিভিন্ন রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর মূল কারণ— শীতের ভয়ে পানি কম পান করা, কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে দেওয়া। শীত ঋতু ছাড়া অন্যান্য সময়েও মলদ্বারে ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার শুরুর দিকে অনেকে গুরুত্ব দেন না। এর ফলে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
সময়মতো এসব রোগের চিকিৎসা না নিলে জটিলতা বাড়তে পারে। মলদ্বারে ব্যথা, ফুলে যাওয়াসহ নানা রোগের উপসর্গ ও চিকিৎসা নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক।
মলদ্বারে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া সাধারণত মলদ্বারের পেছনে এবং ওপরের দিকে হয়। এতে মাঝে মাঝে পুঁজ হয়, ফুলে ওঠে, ব্যথা করে এবং এর এক বা একাধিক মুখ থাকে। শরীরের অন্য অংশেও এ রোগ হতে পারে। এ রোগ সাদা চামড়ার লোকদের এবং পুরুষদের বেশি হয়। যাদের শরীর ঘন লোমে ঢাকা এদের মধ্যে পাইলোনিডাল সাইনাস হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
রোগের কারণ
আগে ধারণা করা হতো জন্মগত সমস্যার কারণে হয়। বর্তমানে মনে করা হয়, এ রোগ কোনো জন্মগত ত্রুটি নয়। এর কারণ অত্যধিক লোম ও লোমকূপে আটকে পড়া লোম, যা পরে পুঁজ এবং গর্তের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
মলদ্বারের পেছন দিকে দুই নিতম্বের মাঝখানে মাঝে মাঝে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া, ফেটে পুঁজ পড়া এবং এক বা একাধিক মুখের সন্ধান লাভ।
চিকিৎসা
সাধারণত অপারেশন ছাড়া ভালো হয় না এবং অপারেশনের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে আবার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অপারেশনের পর নিয়মমতো ড্রেসিং করতে হবে এবং আশপাশের জায়গা সাত দিন পর পর চুল কেটে পরিষ্কার রাখতে হবে।