করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। বর্তমানে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সস্ত্রীক আক্রান্ত এই ভাইরাসে।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাইরাস ও মহামারীকে শুরু থেকেই তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না, তবে তার করোনা আক্রান্তের পর প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সেটি হচ্ছে, ট্রাম্পের দাদাও মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমনকি তার মৃত্যুও হয়েছিল মহামারীতেই। সেটি ছিল স্প্যানিশ ফ্লু মহামারী। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন’র।
ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের দাদার নাম ফ্রেডরিক ট্রাম্প। তিনি ১৯১৮ সালে মহামারী স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হন। ওই সময় স্প্যানিশ ফ্লুতে বিশ্বে ৫০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হন এবং প্রাণ হারান প্রায় ৫ কোটি। স্প্যানিশ ফ্লুকে ইনফ্লুয়েঞ্জাও বলা হয়!
জানা গেছে, সেই সময়ে স্প্যানিশ ফ্লুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান যুক্তরাষ্ট্রেই। সেই সময়ও এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। মৃত্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনও দেশ।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ।
গত শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফার্স্টলেডি মেলানিয়াও একই দিন আক্রান্ত হন। ট্রাম্প এই মহামারীকে গুরুত্ব দেননি। তিনি এটিকে সাধারণ ফ্লু বলে উল্লেখ করতেন। অথচ ট্রাম্প কি জানেন তার উত্তরসূরির মৃত্যু ফ্লুতেই হয়েছিল।
ট্রাম্পের দাদা ফ্রেডরিক ট্রাম্পের জন্ম ১৮৬৯ সালে। তিনি ছিলেন একজন জার্মান-আমেরিকান ব্যবসায়ী।
তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ১৮৯২ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। পরে স্প্যানিশ ফ্লুতে মারা যান।