ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০শয্যা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসিটি ও ষ্টোর কিপার না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মহেশপুর হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্তমানে ডাক্তার ও ঔষধ ঘাটতি না থাকলেও ২জন ফার্মেসিটি,ষ্টোর কিপার, পরিসংখ্যানবিদ,ক্যাশিয়ার,মালি পদ দীর্ঘদিন শূণ্য রয়েছে।
উপজেলা ইউএইচএন্ডএফপিও ডাঃ আনজুমানারা বেগম জানান, এ সকল পদগুলি দীর্ঘদিন শূণ্য থাকায় তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। এই হাসপাতালে ১৩জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত থাকলেও তারা ডেপুটেশনে বাইরে কর্মরত রয়েছে।
ফলে হাসপাতালের জনবল সংকট থাকায় তারা মানুষকে সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, এ সকল বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়ে কোন সূরাহ হয়নি। এদিকে মহেশপুর হাসপাতালের রোগীরা নানাভাবে সেবা নিতে এসে বঞ্চিত হচ্ছে।
ডাক্তার ও ঔষধ থাকলেও তারা সেবা পাচ্ছে না। ইতিপূর্বে ডাক্তার না থাকার কারণে নানা সমস্যায় ছিল এই হসপিটালটি। গত কয়েক মাস আগে ১৭জন ডাক্তার একসাথে যোগদান করায় ডাক্তার সংকট দূর হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, মহেশপুর হাসপাতালের সমস্যাগুলি আমরা লিখিতভাবে পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কে জানিয়েছি কিন্তু এখনও কোন সূরাহ হয়নি। মহেশপুর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,মহেশপুর একটি বৃহত্তর উপজেলা। এই উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। এলাকাবাসী মহেশপুর হাসপাতালকে আরো আধুনিকায়ন ও সমস্যা সমাধানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।