ভয়ংকর হুমকির মুখে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার বাসিন্দারা। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন ও দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাটি খননের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বন্ধের ৪ দিন পর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আবারো শুরু করেছে মাটি কাটার কাজ। তবে পুকুর মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী বললেন মাটি বিক্রি নয় পুকুরের ভেঙ্গে যাওয়া পাড় বাঁধা হচ্ছে।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে দর্শনা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও বেগমপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী বিশ্বাস নিজ বসত বাড়ির সন্নিকটে স্কেভেটর ভিড়িয়ে একটি পুকুর খনন করছে। সে পুকুরের মাটি ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। এ পুরেরর মাটি বিক্রির কারণে অতি গভীর করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। যে কারণে আশপাশের বাড়ি-ঘর ভয়ঙ্কর হুমকীর মুখে পড়েছে। সেই সাথে চরম নিরাপত্তা হীনতা সহ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মাঝপাড়ার বাসিন্দারা।
এদিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পরেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পুকুরে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খননের পর সেই মাটি ট্রাক্টর যোগে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে। এতে করে পুকুর মালিক লাভবান হলেও ভয়ঙ্কর হুমকির মূখে পুকুরের চারিপাশে বসবাস কারি বাসিন্দারা।
তাই বিষয়টি প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগি পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দা সহ সচেতন মহল।
এবিষয়ে পুকুর মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী বিশ্বাস বলেন, মাটি বিক্রি নয়, পুকুরের ভেঙ্গে যাওয়া পাড় বাঁধা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর ইউনিয়ন (ভুমি) অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলাম। তবে আবারো কাটছে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।