ম্যাচে রেফারিকে ধাক্কা মেরে মাঠে ফেলে দিয়েই ক্ষান্ত হননি খেলোয়াড়। রেফারির মাথায় লাথিও মারেন। গুরুতর আহত হয়ে রেফারিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ এক লিগে ক্লাব গুয়ারানির বিপক্ষে সোমবার এমন কাণ্ড ঘটান সাও পাওলো স্পোর্ট ক্লাবের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার উইলিয়াম রিবেইরো।
আর এই ঘটনায় রিবেইরো বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি রিবেইরোকে বরখাস্ত করেছে তার ক্লাব।
রিবেইরোর এমন কাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ জানিয়ে তার ক্লাব সাও পাওলো বলেছে ‘ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটল। রিবেইরোকে বরখাস্ত করেছি আমরা। তার বিরুদ্ধে আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটি খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে হত্যামামলার বিষয়ে এক কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইউওএল বলেন, মামলার বিষয়ে আমার উপলব্ধি, রিবেইরো প্রাণঘাতীর ঝুঁকি নিয়েছিল। তাই এই খেলোয়াড়টিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্দশ মিনিটে উইলিয়াম রিবেইবোর বিপক্ষে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি রদ্রিগো ক্রিভেলেরো। তাতেই ক্ষেপে যান এই ফুটবলার। রেফারিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পর মাথায় লাথি মারেন।
রেফারিকে আঘাতের পর খেলাটি স্থগিত হয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার আবার খেলা হয়। যেখানে ১-০ গোলে জেতে গুয়ারানি।