মাঠের মধ্যে আমগাছের সঙ্গে ঝুলছিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাকী খাতুনের মরদেহ। গ্রামবাসীর খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের আজাদনগর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।
আজাদনগর গ্রামের শুকুর আলী মণ্ডলের মেয়ে লাকী খাতুন (১৪) বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের অভিযোগ, লাকী খাতুনকে হত্যা করে মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৬টার দিকে একই গ্রামের ওহিদুল ইসলাম নামের এক কৃষক মাঠে পেঁয়াজ বীজের জমি দেখতে যায়। একসময়ে তার নজর কাড়ে তার জমির আমগাছের দিকে এবং দেখতে পাই গাছটির সঙ্গে কিছু একটা ঝুলছে। কি ঝুলছে তা দেখতে গাছটির কাছে গিয়ে দেখেন লাকীর মরদেহ। দেখা মাত্রই ছুটে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
মৃত লাকী খাতুনের মা ছালেহা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সদু জোয়ার্দারের ছেলে মারুফ জোয়ার্দারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গত রাত ৩টার দিকে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সকাল ৬টার দিকে ওহিদুল ইসলাম এসে খবর দেয় তোমার মেয়ের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলছে। এরপর ওখানে গিয়ে আমার মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই। তবে আমার বিশ্বাস, আমার মেয়ের হত্যার পেছনে মারুফ রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মারুফ জোয়ার্দার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমার চাচা-ভাতিজির সম্পর্ক ছিল। ওদের বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে জানাশোনা ছিল। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।