নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মামলায় সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে কিশোর গ্যাং।
বুধবার রাত ১০টার দিকে বেগমগঞ্জের ছয়ানীর আমিরপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রাশেদ আহমেদের (৪৮) বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন রশীদ চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, রাশেদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকার রিয়াজ নামে এক সন্ত্রাসীর দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় বাদী কিশোর গ্যাং লিডার রিয়াজ তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
ইতিমধ্যে রিয়াজ একটি মামলায় কারাগারে চলে যায়। দুদিন আগে রিয়াজের এক সহযোগী কিশোর গ্যাংয়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড শান্ত কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে রাসেদ আহমেদকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
এলাকাবাসী জানান, শান্ত কয়েকজন তরুণ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রের মুখে চন্দ্রগঞ্জ থানার কালারপুল এলাকা থেকে টেনেহিঁচড়ে রাশেদ আহমেদকে মারতে মারতে নোয়াখালীর সীমান্তবর্তী বেগমগঞ্জের ছয়ানীর আমিরপুর নিয়ে হত্যা করে। এর পর মরদেহ ধানক্ষেতের পানিতে ফেলে চলে যায়।
রাত ১০টায় খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।