আগামী সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কোভিড -১৯-এর দেড় লাখের বেশি মামলা রেকর্ড করা দেশগুলোর নাগরিকদের উপর সরকার প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
সিনিয়রমন্ত্রী (সুরক্ষা) বলেছেন, তালিকার দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং বাংলাদেশ রয়েছে। পাশাপাশি তিনটি দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের নাম আগে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা উচ্চ-ঝুঁকিযুক্ত বলে বিবেচিত আরও বেশি দেশকে এই তালিকায় যুক্ত করব, যার দেড় হাজারেরও বেশি ইতিবাচক মামলা রয়েছে। তাদের নাগরিকদের (মালয়েশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ) করা হবে।
‘তবে, জরুরি পরিস্থিতি বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাথে জড়িত যেমন- যদি কোনও ব্যক্তির দেশগুলোর মধ্যে বৈঠকের জন্য আসা দরকার হয়, তবে আমরা প্রবেশের অনুমতি দেব। তবে এতে ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বিশেষ কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্বের পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড -১৯-এর পরে দেড় লাখের বেশি ইতিবাচক মামলা রেকর্ড করেছে এমন দেশগুলোর বিষয়ে বিশদ ঘোষণা করবে।
গত মঙ্গলবার ইসমাইল সাবরি সে দেশগুলোতে কোভিড -১৯ মামলার বৃদ্ধির কারণে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকে দীর্ঘমেয়াদী পাসধারীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় ছয়টি ক্যাটাগরির পাস হোল্ডার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যথা স্থায়ী আবাসিক স্ট্যাটাস (পিআর), মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রাম (এমএম 2 এইচ) অংশগ্রহণকারীরা, পেশাদার ভিজিট পাস (পিভিপি) ধারক এবং আবাসিক পাসধারীরা সহ অভিবাসীরা।
মালয়েশিয়ার নাগরিকদের পত্নী এবং তাদের সন্তানদের পাশাপাশি তিনটি দেশের শিক্ষার্থী যারা মালয়েশিয়ায় ফিরে আসতে চেয়েছিল তাদেরও নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এদিকে ইসমাইল সাবরি বলেছেন, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে মালয়েশিয়ানদের দেশে ফিরতে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। তবে মানক অপারেটিং পদ্ধতিতে (এসওপি) নির্ধারিত ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।
নতুন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলার জন্য জনগণ এসওপি-র অনুসরণ করে চলেছে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত হবে।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন