টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী ছাত্রজীবনের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তারই বন্ধু তনুশ্রী। ‘দিদি নম্বর ১’-এর অনুষ্ঠানে এসে একেবারে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন তিনি। জি বাংলার রিয়ালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’-এ এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র। আর সেখানেই ফাঁস হয় মিমির জীবনের এ গোপন কথা। যদিও পুরোটাই তনুশ্রীর দুষ্টুমি। মিমির পেছনে লাগার জন্যই বানিয়ে বানিয়ে বলেন, ‘তুই না একবার পরীক্ষায় ফেল করেছিলি?’
আর তাতে মিমির প্রতিবাদ, ‘শোন আমি ছোট থেকেই খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম।’ রচনাকে নিজের ছেলেবেলার কথা বলতে গিয়ে মিমি চক্রবর্তী জানান, তিনি নাকি খুব দুষ্টু ছিলেন সেই সময়। মারপিট করতে হলে সবার আগে ডাক পড়ত তারই। মিমিও সাতপাঁচ না ভেবেই পৌঁছে যেতেন বন্ধুদের রক্ষা করতে।
তবে ছোট থেকেই তার শখ ছিল অভিনয়ের। যখনই কেউ জানতে চাইত কী হতে চাস বড় হয়ে, ওর উত্তর হতো— ‘আমি হিরোইন হব’। কলেজ শেষ করেই শুরু করে দেন মডেলিং। এর পর ডাক আসে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছ থেকে আইকনিক ধারাবাহিক ‘গানের ওপারের জন্য। তার পর তো প্রথম সিনেমা ‘বাপি বাড়ি যা’, এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রচনা এর পর প্রশ্ন করে পরোপকার করার যে স্বভাব তার ছেলেবেলায় ছিল, সেটি থেকেই কি রাজনীতিতে আসা? তাতে মিমির জবাব, তিনি অভিনয় করার সময়েও লোককে সাহায্য করতেন। তবে রাজনীতির ময়দান তাকে একসঙ্গে অনেকের কাছে পৌঁছে যেতে সাহায্য করেছে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যখন ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব আসে ফেলতে পারেননি।