কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বেলগাছী গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইয়াসিন মাহমুদা স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডা: ইফতেখার মাহমুদ।
বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে এমন খবর শুনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বেলগাছী গ্রামে ছুটে যান। এসময় একেবারেই মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে যাওয়া পরিবারের মাঝে ঘর তোলার জন্য ঢেউটিনসহ শিশু ও বয়স্কদের জন্য নতুন পোশাক এবং খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
ডা: ইফতেখার মাহমুদ বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চারটি, যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা। একসাথে দিতে পেরে পরম তৃপ্তি লাভ করলাম। গত দুদিেেন আটটি পরিবার সম্পুর্ন খোলা আকাশের নিচে দিনরাত কাটাচ্ছিলো। পরদিনই বিশেষ ব্যাগে খাদ্য সামগ্রী (চাউল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ) ভুক্তভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে আটটি পরিবারের গৃহ নির্মাণের জন্য ঢেউটিন, অসহায় পরিবারের মাঝে পরিধেয় কাপড় ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছি। গরীব ও অসহায়দের মানবতার আহ্বানে যথাসময়ে সাড়া দেয়ার জন্য আমার পরিষদের সদস্যবৃন্দের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, ইয়াসিন মাহমুদা স্মৃতি পরিষদ সবসময়ই অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমরা চেষ্টা করেছি আরও বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
অসহায় পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইয়াসিন মাহমুদা স্মৃতি যুব পরিষদের আহবায়ক বিপুল হোসেন জানান, বেলগাছী গ্রামের আমির মির্জাসহ তার আশেপাশের বাড়ীঘর ও পানবরজে আগুন লাগে।আগুনে আটটি পরিবারের ক্ষতিসাধন হয়। এবং এই ৮ টি পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারেননি ওইসব পরিবারের সদস্যরা। তাদের ঘর তৈরির জন্য ঢেউটিন ও নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে।
অসহায় ভুক্তভোগী জানান, পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে আর কিছুই রইলো না। তবে এই দুঃসময়ে ঢেউটিন পেয়ে আপাততঃ ঘরের ব্যবস্থা করতে পারবো। ডা: ইফতেখার মাহমুদ স্যার আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোয় আমরা খুবই খুশি। এ সময় স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বেলগাছী গ্রামের আমির মির্জাসহ তার বাড়ীর আশেপাশে আটটি পরিবারের বসতবাড়ি সহ আশেপাশের কয়েক বিঘা জমির পানবরজ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।