কুষ্টিয়ার মিরপুরে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় শিউলি খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামী পল্লি চিকিৎসক আলামিনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে আল আমিনের মালিকানাধীন স্থানীয় হালসা ক্লিনিকের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়।
স্বজনদের অভিযোগ বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে, শিউলিকে নির্যাতন করে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শিউলি খাতুন উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাকদহচর গ্রামের আসাদুলের মেয়ে এবং একই এলাকার পল্লি চিকিৎসক আলামিনের চতুর্থ স্ত্রী।
শিউলির চাচা সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগে প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে শিউলির বিয়ে হয়। সেই ছেলে বিদেশে থাকায় শিউলির সঙ্গে আল আমিনের ঘনিষ্ঠতা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর শিউলি জানতে পারেন আল আমিনের আরও ৩ জন স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মাঝে মধ্যে আল আমিন শিউলিকে মারধরও করত।
শিউলির চাচাতো ভাই রনি বলেন, ‘গত রাত ২টার দিকে আল আমিন ফোন দিয়ে জানান শিউলি আত্মহত্যা করেছে। এরপর আমরা আল আমিনের বাসায় গিয়ে দেখতে পাই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে শিউলির লাশ। গলায় ওড়না প্যাঁচানো, তবে তাঁর পা খাটের সঙ্গে লেগে আছে। এভাবে কেউ আত্মহত্যা করে না। সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দিই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ হাসান বলেন, ‘আত্মহত্যার বিষয়টি সন্দেহজনক। তাই আমরা শিউলির স্বামী আল আমিনকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।’