মিরসরাইয়ে পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে পড়ে আল শাহরিয়ার আনাস নামের এক মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খৈইয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খন্দকার আল শাহরিয়ার আনাস আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার বাসিন্দা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। তাঁর পিতা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন। নিহত শাহরিয়ার আনাস রাজশাহীর ক্যাপ্টেন এম মুনছুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, বন্ধুর আমন্ত্রণে মিরসরাইয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গতকাল বুধবার তারা মেডিকেল কলেজ থেকে ৮ বন্ধু ঘুরতে যায়। তাঁর বন্ধুর কাকা নিতেন কুমারের বাড়িতে ওঠেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খৈইয়াছড়া পাহাড়ি ঝর্না দেখতে যান। পর্যায়ক্রমে সবাই পাহাড়ের উপরে উঠলেও পা পিছলে শাহরিয়ার আনাস নিচে পড়ে যায়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়ে পানিতে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুরে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন দুঃখ ভরা কন্ঠে জানান, শাহরিয়ার আনাস মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে এমন মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, আনাসকে নিয়ে তার মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ইচ্ছা ছিল ছেলেকে চিকিৎসক বানাবেন। সেই সন্তানের এমন করুণ মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না মা-বাবা। ছেলে নেই এ কথা তারা ভাবতেই পারছেন না। দু’জনই এখন পাগলপ্রায়।
নিহতের পিতা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল বুধবার ৮ বন্ধু পাহাড় ভ্রমণে যায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বন্ধুদের ফোনে জানতে পারি, আনাস আর বেঁচে নেই। স্বপ্ন ছিল, ছেলে চিকিৎসক হবে। স্বপ্ন রয়েই গেলো, ছেলে হারিয়ে গেলো।
এদিকে, ব্যবসায়ীক সংগঠন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহকে তাঁর ছেলের অকাল মৃত্যুতে শোক সমাপ্তি জানাতে হাজির হন আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল উপস্থিত হন।