মেহেরপুর সদর উপজেলার রামদাসপুরে মিশ্র ফলের বাগান করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন জুবায়ের হোসেন। নিজের বসত বাড়ির পাশে ২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বাগানটি।
ইতোমধ্যে তার দেখাদেখি এলাকার এখন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বর্তমানে তার বাগানে মাল্টা, চায়না কমলা, কয়েক জাতের আপেল, আনার, বারোমাসী সজিনা, সৌদি খেজুর রয়েছে। অন্যান্যদের সহযোগীতায় ফল চাষে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছেন প্রতিনিয়ত।
তরুণ উদ্যোক্তা মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে জুবায়ের হোসেন শখের বসে গত এক বছর আগে ২ বিঘা জায়গা নিয়ে বাগান শুরু করেন। এই বছরে কিছু কিছু গাছে ফল আসায় তরুণ জুবায়ের হোসেন সহ এলাকাবাসী খুব খুশি। তবে সামনে বছর থেকে ফল বাজারে উঠবে বলে আশা রাখছে এই তরুণ উদ্যোক্তা।
আপেল, চায়না কমলা, মাল্টার মিশ্র চাষ দেখতে মেহেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বাগানে ভীড় জমাচ্ছে। আপেল, চায়না কমলা এবং মাল্টা চাষ সম্পর্কে পরামর্শ নিচ্ছে বিভিন্ন এলাকার যুবকরা। অনেকেই চারা কিনতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোনে যোগাযোগও করছেন।
তরুণ উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন বলেন, আমি বাগানটা শখের বসে তৈরি করি। প্রথমে মালটা, চায়না কমলা, দার্জিলিং কমলা, সীডলেস লেবু লাগানোর পর বাগানটাকে নতুনত্ব দেওয়ার জন্য আপেল নিয়ে কাজ শুরু করি। আমার বাগানের বয়স যখন এক বছর তখন হিসাব করে দেখলাম যে সফলতার দিকে হাঁটছি। আমি আবার কিছু নতুন প্রজাতির চারা সংগ্রহ করি।
আমার বিশ্বাস আপেলের উপর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের চাষী ভাইয়েরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে সক্ষম হবে। আমার এখানে পাঁচ থেকে ছয় রকমের আপেলের চারা আছে আর এগুলোর সবই বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী।
আমার বাগানে আপেলের গাছ আছে ২০টা, মাল্টার গাছ আছে ৭০টা, চায়না কমলার গাছ আছে ৭০ টা, দার্জিলিং কমলা ৭০টা সীডলেস লেবু ৫০টা। আমার এখানে বিক্রয় উপযোগী ৩ হাজার মালটা এবং ২৫০০ মতো আপেলের চারা আছে। ইতিমধ্যে আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে সাড়া পাচ্ছি।
অনেকেই চারা কিনতে যোগাযোগ ও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।